১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৩ লাখ ফেরতে মিলল জামিন

ফরিদপুরে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯২ টাকা অডিট আপত্তির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির বরখাস্তকৃত সাবেক নির্বাহী পরিচালক অলিয়ার রহমান খান।

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অলিয়ার রহমান দায় স্বীকার করে তিনটি পৃথক পে-অর্ডারের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করায় তাকে জামিন দেন।

এছাড়া ওলিয়ার রহমানসহ স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে শাতির ইবনে ওয়ালি ও কন্যা ইফফাত আরা ফারজানা অঙ্গীকারনামায় আদালত কর্তৃক ধার্য তারিখের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করবেন মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান করার শর্তে জামিন প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী ও সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা জানান, ইতোপূর্বে এক্সটার্নাল ও ইন্টার্নাল অডিট আপত্তির কারণে তাকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সংস্থার নিয়মানুযায়ী তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করা হলে তিনি গত ১৮ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।

তিনি আরও জানান, তিনটি পৃথক পে-অর্ডারের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। বাকি ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯২ টাকা আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা অলিয়ার রহমান খানের কনিষ্ঠ পুত্র শাতিল ইবনে ওয়ালি বলেন, তিনি (অলিয়ার রহমান খান) দীর্ঘদিন ধরে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুল ছিলো কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। যেহেতু অডিট আপত্তি তোলা হয়েছে, জামিনে মুক্তির পর বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া অভিযোগকারীর সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে, উভয়পক্ষ বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্ট করা হবে।